dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বেশিরভাগ সদস্য বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের সাথে দলীয় অনেক নেতা ও সদস্যও ভারতে চলে গেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, ভারতে অবস্থান করাটা ‘সাময়িকভাবে আত্মগোপনে’ থাকার বিষয়, তারা কোনোভাবেই পালিয়ে যাননি, বরং কোৗশলগত কারণে সেখানে আছেন।

এছাড়াও, এই নেতারা পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও কিছু নেতারা পালিয়ে গেছেন।

ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কারণ হিসেবে বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ভারতে এসেছেন এবং এটি বাংলাদেশের জন্য এক নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ভারতেই আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও লাখো মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।

নেতারা কীভাবে যোগাযোগ করছেন?

শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ রাখেন। একাধিক নেতা জানান, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দলীয় নির্দেশনা দেন এবং সদস্যরা মেসেজের মাধ্যমে তার কাছ থেকে উত্তর পান।

ভারতে আশ্রয় নেওয়া নেতারা সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কলকাতা বা তার আশপাশে যারা আছেন, তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, তারা ডিজিটাল মাধ্যমেই দলের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের আশ্রয়ে থাকলেও দলের কার্যক্রম সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও এই পরিস্থিতি দেশীয় রাজনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে

আপডেট সময় ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বেশিরভাগ সদস্য বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের সাথে দলীয় অনেক নেতা ও সদস্যও ভারতে চলে গেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, ভারতে অবস্থান করাটা ‘সাময়িকভাবে আত্মগোপনে’ থাকার বিষয়, তারা কোনোভাবেই পালিয়ে যাননি, বরং কোৗশলগত কারণে সেখানে আছেন।

এছাড়াও, এই নেতারা পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও কিছু নেতারা পালিয়ে গেছেন।

ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কারণ হিসেবে বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ভারতে এসেছেন এবং এটি বাংলাদেশের জন্য এক নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ভারতেই আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও লাখো মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।

নেতারা কীভাবে যোগাযোগ করছেন?

শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ রাখেন। একাধিক নেতা জানান, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দলীয় নির্দেশনা দেন এবং সদস্যরা মেসেজের মাধ্যমে তার কাছ থেকে উত্তর পান।

ভারতে আশ্রয় নেওয়া নেতারা সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কলকাতা বা তার আশপাশে যারা আছেন, তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, তারা ডিজিটাল মাধ্যমেই দলের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের আশ্রয়ে থাকলেও দলের কার্যক্রম সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও এই পরিস্থিতি দেশীয় রাজনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে।