dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম

গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ত্রাণবহর

ইসরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা আবার নৌপথে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) হুথি নেতা আল-হুথি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলকে চারদিনের সময় দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বাধা না সরানো হলে তারা সামরিক অভিযানে ফিরে যাবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীরা এখন ত্রাণ প্রবেশে বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা করছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিরা আক্রমণ বন্ধ করেছিল, তবে নতুন এই আলটিমেটামের ফলে আবারো সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। সেই সময়ের মধ্যে হুথিরা দু’টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, একটি আটক করে এবং অন্তত চারজন নাবিককে হত্যা করে। এসব হামলার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক শিপিং সংস্থা বিকল্প পথ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

আল-হুথি তার ঘোষণায় বলেন, “আমরা চার দিনের জন্য সময়সীমা দিচ্ছি। এই সময়সীমা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হচ্ছে। যদি চার দিন পরেও ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয় এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখে, তাহলে আমরা নৌ অভিযান পুনরায় শুরু করব।”

গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা নিয়ে হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে হামাস হুথিদের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে “সাহসী সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এটি আগের সমর্থনেরই একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা তারা গাজার জনগণের প্রতি দেখিয়ে আসছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম

আপডেট সময় ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা আবার নৌপথে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) হুথি নেতা আল-হুথি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলকে চারদিনের সময় দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বাধা না সরানো হলে তারা সামরিক অভিযানে ফিরে যাবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীরা এখন ত্রাণ প্রবেশে বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা করছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিরা আক্রমণ বন্ধ করেছিল, তবে নতুন এই আলটিমেটামের ফলে আবারো সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। সেই সময়ের মধ্যে হুথিরা দু’টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, একটি আটক করে এবং অন্তত চারজন নাবিককে হত্যা করে। এসব হামলার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক শিপিং সংস্থা বিকল্প পথ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

আল-হুথি তার ঘোষণায় বলেন, “আমরা চার দিনের জন্য সময়সীমা দিচ্ছি। এই সময়সীমা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হচ্ছে। যদি চার দিন পরেও ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয় এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখে, তাহলে আমরা নৌ অভিযান পুনরায় শুরু করব।”

গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা নিয়ে হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে হামাস হুথিদের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে “সাহসী সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এটি আগের সমর্থনেরই একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা তারা গাজার জনগণের প্রতি দেখিয়ে আসছে।