dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল?

কানাডার নতুন প্রধামন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

রোববার (০৯ মার্চ) লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচনের ভোটে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হন।

মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পান ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর জানুয়ারিতে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য ৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়।

কার্নি ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। অর্থনৈতিক খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হলেও রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সংকট মোকাবিলার দক্ষতা তাকে কানাডার নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরেছে।

তিনি এমন সময়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা দেশটির অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিকে কার্নি ‘জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।

মার্ক কার্নির নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল?

আপডেট সময় ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

রোববার (০৯ মার্চ) লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচনের ভোটে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হন।

মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পান ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর জানুয়ারিতে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য ৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়।

কার্নি ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। অর্থনৈতিক খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হলেও রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সংকট মোকাবিলার দক্ষতা তাকে কানাডার নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরেছে।

তিনি এমন সময়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা দেশটির অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিকে কার্নি ‘জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।

মার্ক কার্নির নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।