ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার তীব্র সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। তিনি গাজার দখল নিতে মিসর ও জর্ডানের সাহায্য চেয়েছেন। ট্রাম্প একাধিকবার এই পরিকল্পনা নিয়ে তার খায়েশ প্রকাশ করলেও এবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সেই খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর এবং জর্ডানে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে মিসর ও জর্ডান উভয় দেশই তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর পরবর্তীতে আরব দেশগুলোরও এ বিষয়ে বিরোধিতা স্পষ্ট হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির জন্য ট্রাম্প শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। যদি সময়সীমার মধ্যে তারা মুক্তি না পান, তাহলে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি শনিবার ১২টার মধ্যে সব জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয়, তাহলে আমি যুদ্ধবিরতি বাতিল করার পরামর্শ দেব।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন, সমস্ত বাজি বন্ধ হয়ে যাবে এবং সেখানে নরক শুরু হোক। আমি নিশ্চিত, এই সময়সীমার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত।”
বিশ্বব্যাপী এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে, যারা ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করছে।