dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

বিক্ষোভ দমনে যেসব পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার

২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালো জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) ১১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি জেনেভা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘হেভি ইউনিট’ মোতায়েনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দমন করতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম তদারকি করতেন।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘ জানায়, শেখ হাসিনা প্রতিদিন বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিবেদন পেতেন এবং ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের বিশেষ শাখা সরাসরি তাকে রিপোর্ট দিত। ৪ আগস্ট জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান ও সরকারের মন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকে ঢাকায় পদযাত্রা ঠেকাতে পুনরায় কারফিউ জারি এবং তা কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকালে ও রাতে বিজিবির মহাপরিচালককে পাঠানো দুটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার তথ্যে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় প্রবেশ ঠেকানোর জন্য বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে যৌথভাবে মোতায়েন করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের তদন্ত দলের সঙ্গে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে জানানো হয় যে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না।

এ প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিক্ষোভ দমনে যেসব পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার

আপডেট সময় ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালো জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) ১১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি জেনেভা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘হেভি ইউনিট’ মোতায়েনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দমন করতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম তদারকি করতেন।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘ জানায়, শেখ হাসিনা প্রতিদিন বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিবেদন পেতেন এবং ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের বিশেষ শাখা সরাসরি তাকে রিপোর্ট দিত। ৪ আগস্ট জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান ও সরকারের মন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকে ঢাকায় পদযাত্রা ঠেকাতে পুনরায় কারফিউ জারি এবং তা কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকালে ও রাতে বিজিবির মহাপরিচালককে পাঠানো দুটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার তথ্যে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় প্রবেশ ঠেকানোর জন্য বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে যৌথভাবে মোতায়েন করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের তদন্ত দলের সঙ্গে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে জানানো হয় যে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না।

এ প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করেছে।