dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে টানতে চাইছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (০৮ মার্চ) বলেছেন, ভারত ও চীন বিশ্বের দু’টি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ। উভয়ের উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় পুনর্জাগরণের দিকে মনোনিবেশ করা। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করে সহযোগিতা করতে পারি।”

ওয়াং ই আরও বলেন, “আমরা দুই প্রাচীন সভ্যতা, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও সামর্থ্য রয়েছে যাতে আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে পারি এবং ন্যায্য সমাধানের পথ বের করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনোই সীমান্ত সমস্যার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা উচিত নয়। কিছু নির্দিষ্ট মতপার্থক্যকে সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়।”

চীনের এই বার্তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির মুখে চীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতের সীমান্ত সংঘাত ও পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি ভারতের জন্য চীনের এই কৌশলগত প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের স্মৃতি এখনো ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের মনে সতর্কতা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চারজন চীনা সেনার মৃত্যু হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন

আপডেট সময় ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে টানতে চাইছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (০৮ মার্চ) বলেছেন, ভারত ও চীন বিশ্বের দু’টি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ। উভয়ের উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় পুনর্জাগরণের দিকে মনোনিবেশ করা। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করে সহযোগিতা করতে পারি।”

ওয়াং ই আরও বলেন, “আমরা দুই প্রাচীন সভ্যতা, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও সামর্থ্য রয়েছে যাতে আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে পারি এবং ন্যায্য সমাধানের পথ বের করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনোই সীমান্ত সমস্যার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা উচিত নয়। কিছু নির্দিষ্ট মতপার্থক্যকে সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়।”

চীনের এই বার্তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির মুখে চীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতের সীমান্ত সংঘাত ও পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি ভারতের জন্য চীনের এই কৌশলগত প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের স্মৃতি এখনো ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের মনে সতর্কতা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চারজন চীনা সেনার মৃত্যু হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।