dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীদেরও সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে নারীদের নিবন্ধন করে সামরিক চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানায়।

এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে হ্লাইং থারিয়ার টাউনশিপের মতো শিল্প অঞ্চলের কর্মজীবী নারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে। মিয়ানমারের বৃহত্তম শিল্প এলাকা হ্লাইং থারিয়া টাউনশিপে লক্ষ লক্ষ নারী কারখানায় কাজ করেন এবং তাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরানো সেনা নিয়োগ আইন বাতিল করার পর, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পুরুষ নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে, রাজ্যভিত্তিক অভিযান ও গৃহস্থলীতে তল্লাশি অভিযান চলিয়ে, জান্তা সরকারের সেনারা তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করছে এবং তাদেরকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, জানুয়ারি মাসে ম্যান্ডালয়ে ২৩৭ জন মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

বৃহত্তর যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে, জান্তা সরকার মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে নাগরিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে চাইছে, যাতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী গুলোর মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। এছাড়া, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি গোষ্ঠী নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, যা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে

আপডেট সময় ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীদেরও সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে নারীদের নিবন্ধন করে সামরিক চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানায়।

এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে হ্লাইং থারিয়ার টাউনশিপের মতো শিল্প অঞ্চলের কর্মজীবী নারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে। মিয়ানমারের বৃহত্তম শিল্প এলাকা হ্লাইং থারিয়া টাউনশিপে লক্ষ লক্ষ নারী কারখানায় কাজ করেন এবং তাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরানো সেনা নিয়োগ আইন বাতিল করার পর, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পুরুষ নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে, রাজ্যভিত্তিক অভিযান ও গৃহস্থলীতে তল্লাশি অভিযান চলিয়ে, জান্তা সরকারের সেনারা তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করছে এবং তাদেরকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, জানুয়ারি মাসে ম্যান্ডালয়ে ২৩৭ জন মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

বৃহত্তর যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে, জান্তা সরকার মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে নাগরিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে চাইছে, যাতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী গুলোর মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। এছাড়া, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি গোষ্ঠী নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, যা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।