বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুলডোজার কর্মসূচির খবর কেন সরকারকে জানানো হয়নি? শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক কথা বললেও, তাতে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আইন জনগণ হাতে তুলে নিতে পারে না, যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিচার করতে হবে।”
তিনি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এ সরকার গঠিত হয়েছে এবং এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হিসেবে দেখা যেতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।”
এদিকে, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এমএল) এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচার না হলে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার আহ্বানের কারণে বাংলাদেশে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচিত হবে আজকে এই নৈরাজ্য সৃষ্টি যারা করছেন এবং যারা এই নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের থামানোর চেষ্টা করা।”
বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, “শেখ হাসিনা অতীতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছেন এবং সে আবার নতুন করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিয়েছেন। সেজন্য নতুন করে আরেকটি আদালত গঠন করা উচিত। শেখ হাসিনার বিচার এবং তার দোসরদের বিচার না হলে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।”