dbdmail.com
ঢাকা , সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখল করার এবং সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের কয়েকদিন পর, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করে তাদের মন্তব্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনা উচিত এবং এটি একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নেতানিয়াহু জানান, তিনি মনে করেন, এই ধারণাটি নতুন এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাবিত বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ প্রস্তাবের সমর্থনে বলেন, তিনি গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থান করার সুযোগ দিতে সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের নতুন বাসস্থান হিসেবে বিশ্বব্যাপী যেকোনো দেশ নির্বাচন করতে পারবে। বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা স্থলপথ, আকাশপথ বা সমুদ্রপথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। কাটজ স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেন, ফিলিস্তিনিরা এসব দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবে।

ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখলের পাশাপাশি এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের মনোরম স্থান’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তার এই প্রস্তাবটি বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে এবং ফিলিস্তিনিরা সেখানে নতুন ও আধুনিক বাড়িতে পুনর্বাসিত হবে। তিনি দাবি করেন, এতে মার্কিন সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন হবে না।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে এই সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র আলোচনা চলছে। বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এই প্রস্তাবের প্রভাব ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন

আপডেট সময় ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখল করার এবং সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের কয়েকদিন পর, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করে তাদের মন্তব্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনা উচিত এবং এটি একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নেতানিয়াহু জানান, তিনি মনে করেন, এই ধারণাটি নতুন এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাবিত বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ প্রস্তাবের সমর্থনে বলেন, তিনি গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থান করার সুযোগ দিতে সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের নতুন বাসস্থান হিসেবে বিশ্বব্যাপী যেকোনো দেশ নির্বাচন করতে পারবে। বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা স্থলপথ, আকাশপথ বা সমুদ্রপথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। কাটজ স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেন, ফিলিস্তিনিরা এসব দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবে।

ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখলের পাশাপাশি এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের মনোরম স্থান’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তার এই প্রস্তাবটি বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে এবং ফিলিস্তিনিরা সেখানে নতুন ও আধুনিক বাড়িতে পুনর্বাসিত হবে। তিনি দাবি করেন, এতে মার্কিন সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন হবে না।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে এই সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র আলোচনা চলছে। বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এই প্রস্তাবের প্রভাব ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে।