আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পত্তিতে হামলা না চালানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্পত্তি এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আর কোনো হামলা হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা দীর্ঘদিন হাসিনা সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছে। এসব তাদের এতোদিনের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। সরকার তাদের এই অনুভূতিকে বুঝতে পারছে।”
ড. ইউনূস বলেন, “ভারতে বসে হাসিনা বর্তমান বাংলাদেশ সংস্কারে বাঁধা দিচ্ছে, তাও মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলছে। হাসিনার এসব কার্যকলাপের কারণেই জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে, যা হামলা ও ভাঙচুরের সৃষ্টি করেছে।”
এদিকে, জাপানের ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এনএইচকে) কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে, ড. ইউনূস গণতন্ত্রের পথে নির্বাচনকে অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, “এ বছর শেষে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন যে সরকার আসবে, তাদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ ভিত্তি তৈরি করবে।”
ড. ইউনূস ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “আমরা যখন এসেছিলাম তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমার মনে হয় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ ওই সময় বিধ্বস্ত একটি সমাজ, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই ছিল বিধ্বস্ত।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তারা অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “তরুণরা যা করতে চায়, তা হলো তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তা জানিয়ে দেওয়া। তাই আমাদের মনে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং আমরা দেখব কীভাবে এগিয়ে যাই।”