আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে এ অভিযান শুরু হবে, যা গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং সেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। এ কারণে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সধারী বেশিরভাগ অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হলেও লুট হওয়া অস্ত্রের বড় অংশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অস্ত্র প্রবেশ করানোর মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “পরাজিত কোনো শক্তি যদি জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ অভিযানের নির্দেশনা দেবে।”
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।