dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলবে দুদক

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ব্যক্তিগত লকার খুলে তাদের সম্পদের তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে, যা পরে আদালতকে জানানো হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার নামও দুদকের অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে।

এছাড়া, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং বিএফআইইউর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। দুদক জানিয়েছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণা, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভের তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করছে। ফলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ তাদের লকার খুলে সম্পদের তদন্ত করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলবে দুদক

আপডেট সময় ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ব্যক্তিগত লকার খুলে তাদের সম্পদের তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে, যা পরে আদালতকে জানানো হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার নামও দুদকের অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে।

এছাড়া, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং বিএফআইইউর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। দুদক জানিয়েছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণা, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভের তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করছে। ফলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ তাদের লকার খুলে সম্পদের তদন্ত করা হবে।