আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এই দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন করা হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এদিন বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ দিবস ঘোষণার স্মৃতিতে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতে, মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে তথাগত বুদ্ধ তার ভিক্ষু সংঘের কাছে নিজের মহাপরিনির্বাণ দিবস ঘোষণা করেছিলেন। এদিন তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, তিন মাস পর শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তিনি স্বীয় দেহত্যাগ করবেন, যা পরবর্তীতে ঘটে। সেজন্য এই দিনে বুদ্ধের কথিত অনিত্য ভাবনা করে এবং ইহকাল ও পরকালের সুন্দর জীবন প্রতিষ্ঠার জন্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ধ্যান ও সমাধিতে মগ্ন হন এবং শীলময়, ভাবনাময় ও বিশুদ্ধিপূর্ণ জীবন গড়ার জন্য কঠোর সংকল্পে ব্রতী হন।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মাঘী পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে এবং এটি শেষ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে।
এদিন প্রতিটি বিহারে বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, ভিক্ষুসংঘকে পিন্ডদান, প্রদীপপূজা, অনিত্যভাবনা এবং ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। দিনটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামের বৌদ্ধ অধ্যুষিত গ্রাম ও বিহারগুলিতে মেলার আয়োজন করা হয়। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মেলা হলো- ঠেগরপুনি গ্রামের বুড়া গোঁসাই মেলা (পটিয়া), বিনাজুরি গ্রামের পরিনির্বাণ মেলা (রাউজান), লাটিছড়ি গ্রামের বুদ্ধ মেলা (রাউজান), আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাক্যমুনী মেলা (হাটহাজারি), আর্যমিত্র মহাপরিনির্বাণ মেলা (রাউজান) প্রভৃতি।