dbdmail.com
ঢাকা , সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

বিনামূল্যে ক্যানসারের ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিশু ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শিশু ক্যান্সারের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৩০ শতাংশ, যা উচ্চ আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ।

এটি প্রথম দিকে মঙ্গোলিয়া ও উজবেকিস্তানে পাইলট পর্যায়ে শুরু হয়েছে এবং পরে ইকুয়েডর, জর্ডান, নেপাল, ও জাম্বিয়ায় এ ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ছয়টি দেশে প্রায় ৩০টি হাসপাতালে পাঁচ হাজার শিশু ক্যান্সার রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হবে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, “অনেক বছর ধরেই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পায়নি এবং এ প্ল্যাটফর্ম শিশুদের স্বাস্থ্য ও আশা নিয়ে আসবে।”

এটি ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে অবস্থিত সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটালের যৌথ উদ্যোগ। সেন্ট জুড হাসপাতাল এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে, যা শিশু ক্যান্সার ওষুধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিশ্রুতি।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে ৫০টি দেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুকে ওষুধ সরবরাহ করা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যান্সার আক্রান্ত হয়, যাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের বা নিম্নমানের পরিবেশে থাকে। ডব্লিউএইচওর মতে, সঠিক চিকিৎসার অভাব, চিকিৎসার বাধাগ্রস্ত হওয়া অথবা নিম্নমানের ওষুধের কারণে ৭০ শতাংশ শিশু মারা যায়।

ডব্লিউএইচওর ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান আন্দ্রে ইলবাউই বলেন, “এই উদ্যোগ একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা, যা শিশু ক্যান্সার রোগীদের বাসস্থান বা আর্থিক অবস্থার কোনো বাধা ছাড়াই তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করবে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিনামূল্যে ক্যানসারের ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আপডেট সময় ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিশু ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শিশু ক্যান্সারের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৩০ শতাংশ, যা উচ্চ আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ।

এটি প্রথম দিকে মঙ্গোলিয়া ও উজবেকিস্তানে পাইলট পর্যায়ে শুরু হয়েছে এবং পরে ইকুয়েডর, জর্ডান, নেপাল, ও জাম্বিয়ায় এ ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ছয়টি দেশে প্রায় ৩০টি হাসপাতালে পাঁচ হাজার শিশু ক্যান্সার রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হবে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, “অনেক বছর ধরেই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পায়নি এবং এ প্ল্যাটফর্ম শিশুদের স্বাস্থ্য ও আশা নিয়ে আসবে।”

এটি ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে অবস্থিত সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটালের যৌথ উদ্যোগ। সেন্ট জুড হাসপাতাল এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে, যা শিশু ক্যান্সার ওষুধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিশ্রুতি।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে ৫০টি দেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুকে ওষুধ সরবরাহ করা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যান্সার আক্রান্ত হয়, যাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের বা নিম্নমানের পরিবেশে থাকে। ডব্লিউএইচওর মতে, সঠিক চিকিৎসার অভাব, চিকিৎসার বাধাগ্রস্ত হওয়া অথবা নিম্নমানের ওষুধের কারণে ৭০ শতাংশ শিশু মারা যায়।

ডব্লিউএইচওর ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান আন্দ্রে ইলবাউই বলেন, “এই উদ্যোগ একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা, যা শিশু ক্যান্সার রোগীদের বাসস্থান বা আর্থিক অবস্থার কোনো বাধা ছাড়াই তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করবে।”