dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

শাহবাগে আহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আহতরা। এ সময় তারা বাংলামোটর অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন ৪০-৫০ জন আন্দোলনকারী। তারা সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করায় ওই সময়ের মধ্যে তারা সড়ক অবরোধ করেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেন।

শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানান, “অবরোধকারীরা বিএসএমএমইউর সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন। তবে শাহবাগ মোড়ের অন্য লেনগুলো দিয়ে যান চলাচল করছে।”

আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো, আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ভাতা ও পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে, যারা সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম আছেন, তাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা ও এককালীন ভাতার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে।

এছাড়াও, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা উচিত। এই আইনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান থাকতে হবে।

তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টোল-ফ্রি হটলাইন চালু করা।

এই আন্দোলনকারীদের দাবি, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সরকারের উচিত তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা, যাতে আহতরা শিগগিরই পুনর্বাসিত হতে পারে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ যথাযথভাবে প্রদান করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাহবাগে আহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আহতরা। এ সময় তারা বাংলামোটর অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন ৪০-৫০ জন আন্দোলনকারী। তারা সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করায় ওই সময়ের মধ্যে তারা সড়ক অবরোধ করেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেন।

শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানান, “অবরোধকারীরা বিএসএমএমইউর সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন। তবে শাহবাগ মোড়ের অন্য লেনগুলো দিয়ে যান চলাচল করছে।”

আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো, আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ভাতা ও পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে, যারা সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম আছেন, তাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা ও এককালীন ভাতার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে।

এছাড়াও, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা উচিত। এই আইনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান থাকতে হবে।

তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টোল-ফ্রি হটলাইন চালু করা।

এই আন্দোলনকারীদের দাবি, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সরকারের উচিত তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা, যাতে আহতরা শিগগিরই পুনর্বাসিত হতে পারে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ যথাযথভাবে প্রদান করা হয়।