হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে তীব্র বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আলোচনার একপর্যায়ে উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে, জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এই বৈঠকটি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত ছিল। তবে আলোচনার মধ্যে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বৈঠক কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যেও বিতর্ক দেখা দেয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাস-এর একজন সাংবাদিক ওভাল অফিসে প্রবেশের অনুমতি পেলেও বার্তা সংস্থা এপি এবং রয়টার্সের সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেস পুলের জন্য অনুমোদিত মিডিয়া তালিকায় তাস-এর নাম ছিল না। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই প্রেস সেক্রেটারি ওই সাংবাদিককে ওভাল অফিস থেকে বের করে দেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতি সীমিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক কভার করার অনুমতিও এপি ও রয়টার্সের মতো বড় সংবাদমাধ্যমগুলো পাননি। এতে করে ট্রাম্প প্রশাসনের গণমাধ্যম নীতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির এই বৈঠকের নাটকীয় পরিণতি এবং সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।