dbdmail.com
ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস তারেক রহমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ইন্তেকাল করেছেন কানাডা কাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল? নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অদম্য নারীদের সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬ ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তকারী গ্রেপ্তারকৃত কর্মচারীর মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে ট্রাম্পের ঠাট্টা

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

আপডেট সময় ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।